Header Ads Widget

Responsive Advertisement

ছাত্র-ছাত্রীদের প্রজেক্ট ও বাস্তব অবস্থা / Student projects and real situation

 



ছাত্র-ছাত্রীদের প্রজেক্ট ও বাস্তব অবস্থা
Student projects and real situation


আমি সত্যবাদী মিথ্যুক,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

আজকাল সদ্য ইলেক্ট্রিক্যালে এ ভর্তি  হওয়া স্টুডেন্ট বা তরুণ প্রকৌশলীদের মাঝে একটা বিষয় লক্ষ করা যাচ্ছে যে, তা হল ড্রোন বা রোবটিক নিয়ে গবেষণা করা । এটা দেশের জন্য ভালো, নিজের জন্য ও ভালো।

কিন্তু কীভাবে করছেন সেটা জানা দরকার, আজকাল ফেসবুকের যুগ youtube এর যুগ । যা চাই তাই পাওয়া যায়।

নিজের কোন thinking নাই ,নিজের কোনো গবেষণা নাই, ইউটিউব থেকে ড্রয়িং ডাউনলোড করে নবাবপুর থেকে মালামাল কিনে শুরু করে দিল রোবট ড্রোন বানানো।

ছেলে Engineering পরতেছে দুইদিন পর পর টাকা লাগে। গত সপ্তাহে বান্ধবীর বার্থডে পালন করার জন্য বাবার কাছ থেকে টাকা আনা হয়েছে।

বাবা ও ছেলের কথা মোবাইলের মাধ্যমে হচ্ছে,,,,,, 

বাবা ,,,,,, 

কি বাবা ফোন দিয়েছো কেনো কোন সমস্যা ?

ছেলে,,,,,

বাবা কিছু টাকা লাগবে ?

বাবা,,,,  

গত সপ্তাহে না 1000 টাকা দিলাম ! আবার  কিসের টাকা ?

ছেলে,, 

বাবা বান্ধবীর birthday , মুখ ফসকে ছেলের মুখ থেকে বেরিয়ে গেছে।

বাবা জিজ্ঞেস করে বার্থডে আবার কি ?

ছেলে,,, 

বাবা মানে birthday হল একটি বইয়ের নাম ঐ বইটা না হইলে পরীক্ষায় ফেল করব।

বাবা চিন্তা করে পরীক্ষায় ফেল বলে কথা ,

আমার সপ্ন পুরন হইবো না, অনেক কষ্ট করে 1000 টাকা জোগাড় করে ছেলের কাছে পাঠিয়ে দেন বিকাশ করে।

এখন ছেলে চিন্তা করে আমিতো ড্রোন বানাবো কি করে বাবার কাছে আবার টাকা চাই। পরপর দুই সপ্তাহে ২০০০  টাকা আনা হয়েছে।

এখন ছেলে পাশের বাড়ির ভাবির মাধ্যমে ফোন করে মার সাথে যোগাযোগ করে।

মা ও ছেলে মোবাইলে কথা হচ্ছে,,,

ছেলে,,,

মাগো আমার স্বপ্ন শেষ কান্নাজড়িত কণ্ঠে মাকে বলছে ছেলে 

মা,,,,

বাবা কি হইছে ?

ছেলে,,

মা টাকার অভাবে আমি ড্রোন বানাতে  পারতেছিনা, নাসায় কেমন করে চাকুরী করবো, বন্ধুরা সবাই বানাইছে ,,

মা,, 

বাবা ডোমা আবার কি ?

নাতাশায় চাকরি করবি মানে  ? 

তরে এইজন্য ইঞ্জিনিয়ার পড়াই ? 

পাশের বাড়ির ঐ নাতাশা ভালো মাইয়া না , সারাদিন মোবাইলে পেরেম করে , লজ্জা সরম কিছু নাই। 

ছেলে,,,, 

দুরু মা ঐটা নাতাশা নয় নাসা, ডোমা নয় ড্রোন, মা আকাশ জুড়ে সবকিছু দেখতে পায়।

মা,,, 

বাবা বুঝলাম না ডোমাডা  আবার কি ?

ছেলে,,,

মা বিমানের মত উড়ে 

মা তাও বোঝেনা কারণ গ্রামাঞ্চল বিমান কখনো দেখিনি,

তখন ছেলে বলে মা হেলিকপ্টার , 

এবার মা কয় কস্কি বাবা তুই হেলিকপ্টার বানাবি, যেইডা দেখতে মাগুর মাছের মত ?

ছেলে,,,

হ মা !

মা,,, 

আমার ছেলে হেলিকপ্টার বানাইবো বড় ইঞ্জিনিয়ার হইবো যেমনেই হোক টাকা জোগাড় করে দিতে হইব।

মা ছেলেকে বলে দুইদিন পরে বাড়ি এসে টাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য।

এদিকে গ্রামের বাড়ির ঘরের মেইন লাইন ঘরের টিনের চালে লেগে পুরো টিনের ঘর কারেন্ট হয়ে রয়েছে ।

মা দুই বার শক ও খেয়েছে, বাড়ির  ছাগলটা শখ খেয়ে আর বাড়িতে আসেনা, পাশের বাড়িতে থাকে।

মা ছাগল খুঁজে খুঁজে পাশে বাড়িতে গিয়ে পায়,

রশি দিয়ে টেনে ও বাড়িতে আনতে পারেনা। 

ঘরের বাতিটা জ্বলে না। 

মা ভাবল মিস্ত্রিকে কেন টাকা দিবো ছেলে দুদিন পরে আসবে ছেলেতো আমার ইঞ্জিনিয়ার সেই কাজ করবে।

তো ছেলে দুই দিন পর বাড়িতে আসলো আসার পর মা বলল ঘরের টিনে ধরিস না কারেন্ট ধরে ।

ছেলে বলল মা পাশের বাড়ির ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রী তুফানের বউ যে ভাবি আছে তার কাছ থেকে টেস্টার টা নিয়ে আসো।

ছেলে অনেক খোঁজাখুজি করে দেখল টিনের সাথে লাইন শর্ট হয়ে রয়েছে । তা  রিপিয়ার জন্য ছেলে মেইন লাইন খাম্বায় গেল, গিয়ে দেখেন পল্লী বিদ্যুতের লাইনম্যান সার্ভিস লাইনকে fixed করে লাগিয়ে দিয়ে গেছেন। খোলা কোনো উপায় না পেয়ে তখন ছেলে  নিচে একটি শুকনা ঢাল দিয়ে ঐ short line টাকে  আলাদা করে রাখলেন। যাতে আপাতত সর্ট না লাগে।

এখন ছেলে ঘরের ভিতর আসলেন এবং যে বাতিটি জলে না তা চেক  করে দেখলেন 

 phase and neutral দুটার মধ্যেই পাওয়ার পাচ্ছে। 

কোন ভাবেই বাতিটিকে জ্বালাতে পারলেন এবং কেন দুই তারে পাওয়ার পাচ্ছে তাও বের করতে পারলেন না।

ছেলে ঘরের বাইরে আসলেন এবং ফেসবুক ওপেন করলেন কিন্তু ফেসবুক শুধুই লোডিং হচ্ছে কোন #EEE_Power_Bridge_group এ

কারন জানতে চেয়ে post করতে পারলো না  কারণ গ্রাম অঞ্চলে network খুব দুর্বল । ছেলে ভাবলো এখন কি করা যায় ? 

তাৎক্ষণিক ভাবলেন ফেসবুকের সিনিয়র স‍্যারদের ফোন করে জিজ্ঞেস করতে পারি,,,,,

Engr Zahid Rahman  Sir কে ফোন দিলেন কিন্তু উনি ওনার ডেক্সে নাই উনি top management এর সাথে electrical machines নিয়ে conference room এ মিটিং করছেন আর ওনার মোবাইল ওনার ডেক্সে তাই  ফোন রিসিভ করা যাচ্ছে না।

Salim Ahmed sir সাথে যোগাযোগ করতে পারলো না নেট সমস্যা এবং উনি Singapore থাকেন। ফোন নম্বরও নাই।

Engr AK Azad  Sir ফোন দিলেন কিন্তু উনি অনেক ব্যাস্ত কারণ উনার প্রতিষ্ঠানের বয়লার মেশিনে fire 🔥 হয় না। মাথা গরম, প্রোডাকশন বন্ধ। এই মুহূর্তে ফোন ধরার প্রশ্নই আসে না।

Md Mynul Islam স্যার কে ফোন দেয়া হয়েছিল কিন্তু ওনার নতুন চাকরি কাজের  প্রতি এত মনোযোগ তার পরিবারের ফোন ধরার সময় নেই আর unknown number তো কথাই নেই।

 Engr Amit Banerjee  স‍্যারকে  ফোন দিলেন কিন্তু উনি সারাদিন অফিসের প্যারা শেষ করে বাসায় একটু Refreshments হওয়ার জন্য লাইভ গান করছেন ভিডিও হচ্ছে। এখন ফোন ধরার প্রশ্নই আসে না।

 Amit Paul  sir কে ফোন দিলো । কিন্তু উনি তো দুহাতকে চার হাত করে নতুন ভিডিও করে ফুরফুরে মেজাজে আছে। লাইফ পার্টনার নিয়ে টিকটকে বিজি। কিভাবে ফোন ধরবেন।

এবার MD Robiul Islam  স্যার কে ফোন দিলেন কিন্তু রবিউল স্যার ১০০ টাকায় Online Electrical Engineering Diagram Course  live এ আছেন। এই মুহূর্তে ফোন ধরার প্রশ্নই আসে না।

Torun AL Islam  স্যার কে ফোন দিলেন কিন্তু উনি night duty করেছেন তাই দিনে মোবাইল সাইলেন্ট করে  নাকি দিয়ে ঘুমাইতেছেন কিভাবে ফোন ধরবে ?

 Md Azizur Rahman  স্যার কে ফোন দিলেন কিন্তু সামনে ঈদ অনেক প্রোডাকশনের চাপ ।তাই মেশিন নিয়ে ব্যস্ত। তাই ফোন ধরছে পারতেছেন না।

Rubel Rushdie  স্যার দেরকে ফোন দেওয়া হইলো কিন্তু ওনারা কেউ ফোন ধরতেছেনা। কারন উনি স্বপ্নের সর্ণের হরিণ সরকারি চাকরির প্রস্ততিতে ব্যাস্ত।

সর্বশেষ #Engr_Rafikul_Islam স্যারকে ফোন দিই কিন্তু উনি কিভাবে ফোন দরবেন,

উনা ফোনই নষ্ট।

ছেলে ধুত্তরি   কাজের সময় কাউকে পাওয়া যায় না ভাঙ্গা পা ই খাদে পড়ে।

এদিকে কাউকে না পেয়ে ছেড়ে তো ঘেমে অস্থির মা বলে বাবা তোর কি হইছে এত ঘামতেছত কেন বুঝছি বাড়িতে ভূতের আসর করছে ঘরে current,

ছাগল বাড়িতে আসে না বাতি জ্বলে না। কি যে করি ,,,,

মা কয় যা বাবা ঐ ছাগল কে ভুতে ধরছে !

ঐটা বিক্রি করে টাকা নিয়ে যা আমি পাশের বাড়ি তুফানকে দিয়ে #current ঠিক করাবো নে।

ওই ছাগল বিক্রি না করলে বাড়ি থেকে ভুত যাইবো না।

ছেলে #ছাগল বিক্রি করে ওই টাকা নিয়ে ঢাকা পলিটেকনিক লতিফ ছাত্রাবাস এর 202 নাম্বার রুমে গিয়ে ওঠে এবং ড্রোনের মাল নবাবপুর থেকে কিনে রুমে বসে গুগলের  ড্রয়িং দেখে ড্রোনের কাজশুরু করে দিল ও রেডিমেট ড্রোন হয়ে গেল।

এখন যেই remote চাপ দিলো সাথে সাথে  ড্রোন উড়ে  গিয়ে হলরুমের ফ্যানের সাথে লেগে পুরো Don ভেঙে চুরমার হয়ে গেল এবং সেই সাথে ভাঙা অংশ দিয়ে ইঞ্জিনিয়ার সাহেব আহত হলেন।

#শেষ_সব_শেষ

ড্রোন বানানোর স্বপ্ন সেখানেই সমাপ্তি এবং  দু'দিন পরেই সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা Industrial Electronics কিছুই বোঝেনা ।

এখন এক বড় ভাইয়ের কাছে গেল ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইলেকট্রনিক্স সাবজেক্ট বুঝার জন্য । তখন বড় ভাই বললো এই 4-5 মাস কি করেছ তখন  সে সমস্ত  কাহিনী খুলে বললো তখন বড় ভাই বলল electronics  বুঝতে পারোছ না আবার ড্রোন  বানাবি আর  নাসায় চাকরি করবি ,,,,,, 

আজব।

এটা আমার এক দুঃসম্পর্কের ছোট ভাইয়ের বাস্তব কাহিনী, সাজানোর জন্য কিছু কিছু আমি কাল্পনিক এড করেছি।

সব #Dhaka_polytechnic_institute থেকে পাশ করেছে এক সময় নাসায় চাকরি করার  স্বপ্ন দেখতো কিন্তু এখন স্বপ্ন দেখে না ।

তাকে একটি চাকরি দিয়েছিলাম সে পালিয়ে এসেছে নাইট ডিউটি ও কাজের  ভয়ে এখন সে আমার সামনে আর লজ্জা আসেনা কিন্তু কারো কারো কাছে শুনি সে একটি ইলেকট্রিশিয়ান চাকরি জন্য অনেকের কাছে সিভি দিয়ে বেড়াচ্ছে। আর  টিউশনি  করে কোন মত তার খরচ চালাচ্ছে,,,,,,,

এখন মূল কথায় আসা যাক আপনি  ড্রোন  বানাবেন রোবটের কাজ করবেন নাসায় জব করবেন কিন্তু আপনাকে একটি পরিকল্পনা অবলম্বন করতে হবে। আপনাকে আগে বেসিক ক্লিয়ার  করতে হবে।

যারা রোবটিক নিয়ে কাজ করেছে তাদের সাথে থেকে আইডিয়া নিতে হবে,বুঝতে হবে তার ভবিষ্যৎ কি বা কতটুকু ।

আমি দিতে পারবো বা আমার নিজের কতটুকু জ্ঞান আছে। 

আপনি #semiconductor চিনেন না ডায়োড  চিনেন না,

IC চিনেন না আপনি কিভাবে ড্রোন বানাবেন ?

তাই চিলে কান নিয়েছে কানে হাত না দিয়ে চিলের  পিছনে দৌড়াবেন না।

আপনার প্রতি বিনীত অনুরোধ রইলো।

আগে নিজেকে প্রশ্ন করুন । তারপরে কোন লাইনে যাবেন সেটা সিদ্ধান্ত নিন।

 তার আগে নয়।

কারো মনে আঘাত লাগলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।




Engr. Rafikul Islam
Engr. Rafikul Islam
Electrical Engineer
Admin
EEE Power Bridge 
Dhaka












আপনার প্রিয় লেখা গুলো ONE KFS এ প্রকাশ করতে ই-মেইল shahadatkfs@gmail.com করুন 
অথবা ফেইজবুকে KFS Technology & BDT Pathshala বার্তা দিন ।
ONE KFS সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ
 Shahadat Hossain KFS

বোকা ও ক্ষূদার্ত  

Post a Comment

0 Comments