Header Ads Widget

Responsive Advertisement

ভাইভা অভিজ্ঞতা / Viva experience

 



ভাইভা অভিজ্ঞতা

ভাইভাতে কি কি প্রশ্ন করে এবং কি কি সাবজেক্ট থেকে প্রশ্ন করে, অনেকেই জানতে চান। মুলত ভাইভার কোন সিলেবাস নেই, প্রশ্নের কোন ধরনও নেই। ভাইভা বোর্ডে সাধারণত তিন প্রতিষ্ঠানের মেম্বাররা থাকেন।

১) প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব  উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা 

   (মানবসম্পদ কিংবা টেকনিক্যাল)

২) মন্ত্রনালয়ের প্রতিনিধি

৩) এক্সাটার্নাল (বুয়েট শিক্ষক বা অবসরপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা)

বেশিরভাগ প্রশ্ন করেন বুয়েট, ডুয়েট বা অন্যকোন প্রতিষ্ঠান থেকে আগত এক্সটারনাল মেম্বারগন। ভাইভার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জেনে রাখা দরকারঃ

১) ভাইভাতে মার্কস ১০% বা ২০% থাকে (পিএসসি ব্যতিত)। 

ভাইভাতে অংশ নিলেই ৬-৭ মার্কস পাবেন। সব প্রশ্ন না পারলেও পাবেন। সব প্রশ্ন পারলে সর্বোচ্চ ফুল মার্কস পেতে পারেন। তাই চিন্তিত হবার কিছু নেই।

২) ভাইভা বোর্ডের সদস্যগন আপনার লিখিত পরীক্ষার মার্কস জানেন না। তাদের হাতে থাকে শুধু আপনার নাম এবং রোলনম্বর। তাই আপনাকে কয়টি প্রশ্ন করবে এবং কি কি প্রশ্ন করবে; এর সাথে লিখিত পরীক্ষার মার্কসের কোন সম্পর্ক নেই। 

অনেকের ভাইবা খুব ভাল হওয়ার পরেও তাই জব হয় না। আবার বেপজার ভাইভা বোর্ডে অপমান করে বের করে দেয়া ছেলেটিও বেপজাতে ঠিকই চান্স পেয়েছিল।

৩) যেকোন ফুল হাতা শার্ট এবং প্যান্ট ফরম্যাল পড়লেই হবে। ড্রেসাপ এবং লুকাপের জন্য আলাদা কোন মার্কস নেই।

৪) প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পূর্বেই গুছিয়ে রাখবেন। কোন কাগজ হারানো গেলে বা না থাকলে, ঘাবড়াবেন না। আপনি ভাইভার পরেও কাগজ দেখানোর সময় পাবেন।..

ভাইভাতে একেকজনের অভিজ্ঞতা একেক রকম। অনেকের সাথে ভাইভা বোর্ড মেম্বাররা দুষ্টামি করেন। খোশগল্প শুরু করেন। অনেকের বাবা মায়ের নাম জিজ্ঞেস করেও বিদায় দেন। 

আবার অনেকজনকে একের পর এক প্রশ্ন করতেই থাকেন। ডিপার্টমেন্ট, নন ডিপার্টমেন্ট, পারিবারিক; সব রকম প্রশ্নই করেন স্যাররা। তবে কিছু কমন প্রশ্ন থাকে এবং কিছু কমন বিষয় থেকে প্রায় সব ভাইভা বোর্ডে প্রশ্ন পাবেন। যেমন-

১) নিজের সম্পর্কে বলুনঃ আপনার নাম, পিতার নাম, জেলা, জন্মতারিখ, ইন্সটিটিউট সম্পর্কে বলে দিবেন।

২) আপনার জেলা কেন বিখ্যাত।

৩) জেলায় বিখ্যাত কে কে জন্ম নিয়েছেন।

৪) এতদিন কোথায় জব করতেন।

৫) পূর্বের জব রিলেটেড এবং জবে আপনার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবে।

৬) পূর্বের জব সম্পর্কিত বিভিন্ন বই, সাবজেক্ট, টুলস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে পারে।

৭) মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশ, জাতির পিতা, প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে খুব ভাল ভাবে পড়াশুনা করে যাবেন।

৮) ডিপার্টমেন্ট বেসিক থেকে শর্ট প্রশ্ন করে। মাঝে মাঝে কোন কিছু আঁকতে বা লিখতে দিতে পারে। ডিপার্টমেন্ট প্রশ্ন অনেক ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে করতে পারে। না পারলে, স্কিপ করবেন। ভুল উত্তর দিয়ে টেনশান বাড়াবেন না।

৯) আপনার নামের দুইজন বিখ্যাত ব্যক্তির নাম, নামের অর্থ জেনে রাখুন।

১০) যে প্রতিষ্ঠানের ভাইভা তাদের ওয়েবসাইট এবং ইন্টারনেট থেকে যাবতীয় তথ্য জেনে রাখুন।

৯) পরিশেষে আপনাকে আসতে বললে, সালাম দিয়ে চলে আসবেন।

ভাইভা পরীক্ষার সবচেয়ে বড় শত্রু টেনশান।

 স্যাররা আপনার শত্রু না। না পারলেও কিছু বলবে না। ভাইভার কারনে লিখিত পরীক্ষার মার্কের উপর কোন প্রভাব পড়বে না। তাই চিন্তামুক্ত থেকে পরীক্ষা দিন।

 সর্বোপরি আপনি প্রকৌশলী পদে ভাইভা দিচ্ছেন, তাই মার্কেটিং কিংবা রিসেপশনিস্ট এর মত আপনার Gesture, Oral presentation কিংবা Verbal Communication দেখা হবে না। আপনার যা প্রমাণ করার, লিখিত পরীক্ষায় প্রমাণ করে দিয়েছেন। তাই নিশ্চিন্তে থাকুন।

 Nasim sarkar এর টাইমলাইন থেকে।



Engr. Rafikul Islam
Engr. Rafikul Islam
Electrical Engineer
Admin
EEE Power Bridge 
Dhaka












আপনার প্রিয় লেখা গুলো ONE KFS এ প্রকাশ করতে ই-মেইল shahadatkfs@gmail.com করুন 
অথবা ফেইজবুকে KFS Technology & BDT Pathshala বার্তা দিন ।
ONE KFS সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ
 Shahadat Hossain KFS

বোকা ও ক্ষূদার্ত  

Post a Comment

0 Comments